তারবিহীন বিদ্যুতের স্বপ্ন 🔮
– শাহাদাতুর রহমান সোহেল
প্রাচীন পিরামিডে জ্বলছে আগুন, নীলাভ বিদ্যুৎ—
সাউন্ড কম্পনে ভাসে পাথর, মহাজাগতিক সূত্র!
হোরাসের চোখে টিমটিমে জ্যোতি, বিজ্ঞান নতশির,
নিকোলা টেসলা দেখেন স্বপন—নতুন এক নীল নকশার ভিড়।
তারহীন শক্তি ছুঁয়ে দেয় আকাশ, ছুঁয়ে দেয় মহাসাগর,
পৃথিবীর বুক জ্বলে ওঠে—নতুন দিনের আয়োজন:
নিউ ইয়র্ক থেকে গিজা, হিমালয় থেকে এন্ডিজ—
একটি স্পার্ক, একটি স্বপ্ন, এক বিশাল নীরব বিস্ফোরণ;
কায়া আর আত্মার গানে, প্লাজমার ফাঁদে জ্বলন্ত কুয়াশা,
অ্যান্টি-গ্র্যাভিটি বাঁধে সেতু, দিগন্তে বিদ্যুৎ প্রবাহ।
চেতনার কোষে কোয়ান্টাম আলো, সাউন্ড ওয়েভে নাচে ধূলি,
মিশরীয় মমি জেগে উঠে বলে—"ফিরে এসো, নবজীবনে জ্বলি!"
ডেনডেরা লাইট ফিসফিসিয়ে বলে—"আলো ছিল, আলো আসবে!"
পিরামিড গানে বাজে আলোক—"টেসলার জোয়ার", নবউৎসব।
হঠাৎ এক ঝলক নীলাভ আগুন—আকাশে বিদ্যুৎ রেখা,
এই বিজ্ঞানের ছন্দে পৃথিবী—আজ নতুন আলোয় লেখা।

এই কবিতা নিয়ে কয়েকটি কথা: ১) বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা(১৮৫৬ - ১৯৪৩)’র অন্যতম প্রধান স্বপ্ন ছিল তারবিহীন বিদ্যুৎ (Wireless Electricity) – যেখানে তার ছাড়া পুরো পৃথিবী জুড়ে শক্তি সরবরাহ করা যাবে এবং সবাই সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারবে — যেমন আমরা আজ ওয়াই-ফাই ব্যবহার করি! তিনি বিশ্বাস করতেন, পৃথিবী নিজেই একটি বিশাল পরিবাহী (conductor), এবং এটিকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ পাঠানো সম্ভব। জানা যায়, মিশরের গিজার পিরামিড নিয়ে গবেষণা করতে যেয়ে তিনি এর ধারনা পান । ২) এটি মূলত গদ্য ও পদ্যের মিশ্রণে রচিত গদ্যকবিতা। ৩) এতে পরাবাস্তব কোলাজের শৈলী ব্যবহৃত হয়েছে। ৪) একবিতাটি একই সঙ্গে অতীতের মিশরীয় সভ্যতা, বর্তমানের নানা বিজ্ঞানের ভাবনা, এবং ভবিষ্যৎ (তারবিহীন বিদ্যুৎ, কোয়ান্টাম শক্তি) নিয়ে লিখিত হয়েছে। এটিতে আধ্যাত্মিকতা ও বিজ্ঞানের গভীর দর্শনও ব্যবহৃত হয়েছে।
Comment on social media:
গদ্য কবিতাটি চমৎকার হয়েছে।
- কবি জান্নাতুন নূর (Jannatun Nur)
একই সঙ্গে অতীতের মিশরীয় সভ্যতা, বর্তমানের নানা বিজ্ঞানের ভাবনা, এবং ভবিষ্যৎ (তারবিহীন বিদ্যুৎ, কোয়ান্টাম শক্তি) নিয়ে লেখা এ কবিতাটি টাইমলেস (কালহীন) কাব্য হয়ে উঠেছে।
- শায়েরুল ইসলাম
No comments:
Post a Comment