অরুণোদয়ের প্রতীক্ষা
– শাহাদাতুর রহমান সোহেল
(কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় লেখার চেষ্টা। ১৮ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।)
তটিনীর স্রোতে বহে একাকী বিমূঢ় মোর আশা,
সন্ধ্যা-আকাশে আঁকা রঙিন মেঘে মায়াবী ভাষা।
কোন সে দূরের বাঁশির সুরে হৃদয় দেখো কাঁপে,
শিশির-ছোঁয়ায় শিহরিত হয় মৃদু এই তাপে।
আকাশ-জোড়া তারা গুনে কাটিছে নিশীথ-প্রহর,
দিগন্ত জুড়ে বহিছে ছায়ার মায়ার বহর।
তবু বাতাসে বাজে এক ভীতিপ্রদ গভীর শ্বাস,
নীরব নিশীথে কাঁপে শ্যামল বনের পথবাস।
ছায়ারা লুটায় অজানা শঙ্কায় নত মাটিতে,
রূঢ় পদচিহ্ন পড়ে ঘন আঁধারের ঘাঁটিতে।
নদীর তীরে শোনা যায় কান্নার কাতর ধ্বনি,
কে যেন ডাকে ভয়াল স্বরে রূঢ় সুর উঠে রণি।
নিভে আসে প্রদীপের আলো, কাঁপিছে ঘরের কাঁচ,
বাতাসে শিহরন জাগে, বনপথে ছায়ার নাচ।
দিগন্তে জমে কালো মেঘ, ঘন ঘন বজ্রপাত,
আরো ভয়াল বন পথে নীরব কুটিরের রাত।
তবু সে আঁধার লুপ্ত হইবে ঊষার আলোকে,
নব দিনের বারতা আসিবে বর্ণিল ভূলোকে।
দিগন্ত-সীমায় উঠিবে সূর্য রাঙা কিরণে,
জগতের বুক রাঙিবে আবার নূতন বরণে।
No comments:
Post a Comment