
সমুদ্র গায় গান নীল আঁচলে স্নান সেরে –
কলাতলী যেন এক সূর্যাস্তের সোনালি প্রতিচ্ছবি,
যেখানে শান্তির মায়ায় হারায় ক্লান্ত হৃদয়।
লাবনী পয়েন্ট, যেন স্বপ্নে হারানোর মায়াবী জানালা,
সেখানে সমুদ্রের ঢেউ গায় মুক্তির গান।
সুগন্ধা সৈকত নানা সময় ভোরে-দিন-দিনান্তে বহুরূপী,
যেখানে সূর্যের আলো ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের ক্যানভাস।
ইনানীর প্রবাল পাথর, যেন দুঃসাহসিক কল্পনার সিংহাসন,
সেখানে সমুদ্রের নীলতায় ঝরে পড়ে স্বপ্নের ডানা।
হিমছড়ি ঝর্ণা, সবুজ পাহাড়ের নূপুরের শব্দ,
যেন প্রকৃতির কান্না, আনন্দের অশ্রুজল।
সেন্ট মার্টিনের প্রবাল দ্বীপ, এক মায়াবী জগৎ,
যেখানে প্রকৃতির আঁচলে লুকিয়ে থাকে মুগ্ধতা।
ছেড়া দ্বীপ, যেন আকাশের এক হারানো তারা,
সমুদ্রের বুকে ভেসে থাকা এক নিঃসঙ্গ স্বপ্ন।
মাথিনের কূপ, অতীতের নিরব স্মৃতি,
যেখানে জল নয়, ঝরে পড়ে বেদনার কাব্য।
মেরিন ড্রাইভ, যেন এক অবিরাম রূপকথার রাস্তা,
যার পাশে সমুদ্রের সুরেলা গান।
মারমেইড বিচ রিসোর্ট, যেন স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ,
যেখানে প্রকৃতি আর বিলাসিতা মিলেমিশে একাকার।
ডুলা হাজারা সাফারি পার্ক, এক অরণ্যের মহাকাব্য,
যেখানে পশুদের দৃষ্টিতে ফুটে ওঠে স্বাধীনতার আভাস।
নাফ নদী, এক জলীয় সীমানার গল্প,
যেখানে দুই দেশের প্রেমের বাঁধ ভেঙে দেয়।
চকরিয়ার নিভৃতে নিসর্গ – যেখানে মিলে স্বর্গের ছোঁয়া,
জলে-জঙ্গলে-পাহাড়-ঝর্ণায় ডাললেকের রূপে অপরূপ –
মেধাকচ্ছপিয়ার সবুজে বোনা শান্তির গল্প,
যেখানে প্রকৃতি আর মানুষ মিলেমিশে একাকার।
মহেশখালীর শৈলঘেরা দ্বীপ, কুতুবদিয়ার বাতিঘরের আলো,
চিরসবুজ ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় ভরে দেয় সকল হৃদয়।
কক্সবাজারের মাছের বাজার, যেন সামুদ্রিক উৎসব,
জেলেদের সাথে মাছ ধরার আনন্দ স্মরণীয় –
ট্রলারের মিছিল ঢেউয়ের দোলায় ভাসে,
সাগরের অগাধ ধন ভরে তোলে জেলের জীবন।
নাইক্ষ্যংছড়ি যেন পাহাড়, ঝর্ণা আর অরণ্যে ভরা কাব্য:
বাকখালি নদী দিয়ে পাহাড় ও সাগরের আত্মীয়তা –
আশারতলী চা বাগানের সবুজে চোখ ভরে যায়,
উপবন লেকে ঝুলন্ত সেতু, কায়াকিংসহ নানা সুখ।
কক্সবাজার! তুমি স্বপ্নের এক সুরক্ষিত কাহিনী,
যেখানে প্রকৃতি আর মানুষের মিলনে রচিত হয় অনন্ত কবিতা:
তোমার প্রতিটি স্থান, প্রতিটি দৃশ্যপট,
রূপকের ঝলকানিতে রাঙিয়ে দেয় আমাদের হৃদয়ের অঙ্গন।
কিছু কথা: শৈশব থেকে কক্সবাজার দেখছি। জীবনের প্রথম কবিতা লিখেছিলাম কক্সবাজার নিয়ে। কক্সবাজার নিয়ে এখানে একটা কবিতা দিলাম।
No comments:
Post a Comment